Skip to main content

এন্ড্রয়েড ডিভাইসে বেস্ট পারফরম্যান্স পাওয়ার ট্রিকস

বর্তমানে প্রায় হাতে হাতে এন্ড্রয়েড ডিভাইস চলে আসছে কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার বেশিরভাগ মানুষই জানে না। আমি নিজেও এর শিকার হয়েছিলাম। তাই আজকে আমি আলোচনা করব কীভাবে এন্ড্রয়েড ডিভাইসে বেস্ট পারফরম্যান্স পাবেন। সাধারণ কিছু নিয়মনীতি মেনে চললে আপনার ফোন সর্বোচ্চ স্ট্যাবিলিটি অর্জন করবে এবং দীর্ঘদিন পারফরম্যান্স ভালো পাবেন। তো চলুন শুরু করা যাকঃ-

১. ইন্টারনেট কানেকশন চালু রেখে কখনো ফোন চার্জ দিবেন না। যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের জন্য বিশেষ করে।

২. বিশেষ প্রয়োজন না হলে ফোনের নিজস্ব চার্জার ব্যতীত কখনো অন্য চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করবেন না এবং ঐ ফোনের চার্জার দিয়েও অন্য কোনো ফোন চার্জ করবেন না। 

অর্থাৎ, এক ফোন এক চার্জার নীতি পালন করবেন।

৩. সর্বোচ্চ ৯৫% পর্যন্ত ফোন চার্জ করবেন, কখনো ১০০% চার্জ করা উচিত নয়।

৪. কখনো চার্জিং লেভেল ২১% এর নিচে আসতে দিবেন না। ২২-২৭% এর মধ্যে থাকাবস্থায় চার্জ দিবেন।

৫. Full Charge হয়ে যাওয়ার পর কোনোভাবেই চার্জারের সাথে কানেক্টেড রাখবেন না।

আপডেটঃ বর্তমানের ফোনগুলোতে সিকুরিটি হিসেবে এমন ব্যবস্থা করা থাকে যে ফোন সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার পর অটোমেটিক কারেন্ট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ফোনের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে চার্জারের অতিক্ষুদ্র ক্ষতি সাধিত হয় যেটা চাইলে উপেক্ষা করা যায়। আমার সাজেশন, ২১%-৯৫% চার্জিং সাইকেলে ব্যবহার করুন।

৬. চার্জ না দেওয়া অবস্থায় চার্জার কখনো বৈদ্যুতিক সকেটে লাগিয়ে রাখবেন না। এতে চার্জারের ক্ষমতা হ্রাস পায়।

৭. ফোন চার্জ দেওয়া অবস্থায় কখনো ফোন চালাবেন না (বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত)।

৮. রোদে কখনো ফোন চালাবেন না (বিশেষ প্রয়োজন না হলে), ইন্টারনেট কানেকশনের তো প্রশ্নই আসে না। এতে প্রসেসরের উপর ব্যাপক চাপ পড়ে যার ফলে ফোনের পারফরম্যান্স অতি দ্রুত খারাপের দিকে যায়।

৯. প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৫-৬ ঘন্টার জন্য ফোন অফ রাখুন।

১০. র‍্যাম যতই হোক, ফোনের রমে (ইন্টারনাল স্টোরেজ) যথাসম্ভব স্পেস/জায়গা খালি রাখুন।

১১. GPU শক্তিশালী না হলে ভারী গেম খেলা উচিত নয়।

১২. তুলনামূলক 4G-র চেয়ে 3G তে প্রসেসরের উপর প্রচুর চাপ পড়ে। 3G তে চার্জও অনেক দ্রুত ক্ষয় হয়। তাই 4G available থাকলে 4G তে চালানোই ভালো যদিও ঠিকভাবে সেটিংস করা না থাকলে 4G তে ডাটা (MB) লসটা একটু বেশিই হয়।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

Mini Militia Old Version Download (3.0.6 & 3.0.47)

২০১৭ সালের দিকে Mini Militia নামের একটি Game ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তখনকার সময়ানুযায়ী সেটি যথেষ্ট উন্নত ছিল। তবে ধীরে ধীরে সময়ের পরিক্রমায় সেটি আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে নি। তাই বর্তমানে PUBG, Free Fire ইত্যাদির ভীড়ে সেটি হারিয়ে গেছে। তবে এখনো অনেকে Mini Militia গেমটি ইন্টারনেটে খুঁজেন। তার সবচেয়ে বড় একটি কারণ হল, এটি খেলার জন্য শক্তিশালী Processor সম্বলিত ফোন লাগে না। খুব সাধারণ এন্ড্রয়েড ফোনেও সাবলীলভাবে খেলা যায়। তাছাড়া, ইন্টারনেট ছাড়াই খেলার কারণেও অনেকে খুঁজেন। এর পাশাপাশি শৈশবের স্মৃতি হিসেবে তো রইলই। আমিও তখন এটি অনেক খেলেছি। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের অবরুদ্ধ সময়ে আমরা (আমি, রাকিব, রিফাত, রবিন, মুর্শিদুল, তুষ্টি) আমাদের লটকনতলায় বসে প্রচুর খেলেছি আর গল্পগুজব করেছি।  বর্তমানে ঐ সময়ের গেমটি (পুরাতন ভার্সন) আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা বেশ কয়েকজন সেটি খুঁজতে প্রচুর সময় ব্যয় করেছি। এমনকি প্রায় দশ পনেরোটি ভিন্ন ভিন্ন গেম ইন্সটল করেও সেটি আর পাই নি। কাকতালীয়ভাবে আমার মতই কোনো একজনের কাছে সেই সময়ের গেমটি পেলাম। আমার কাছে একটি ছিল। আমি ড্রাইভে আপলোড করে রেখেছিলাম। বুঝতে...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের ব্যাঙ্গাত্বক কথোপকথন

রবীন্দ্রনাথ: "কবি, করিয়াছো ভূল, রাখোনাই দাঁড়ি রাখিয়াছো চুল" । নজরুল:  "অন্তরে বিশ্বাস নেই, মিছে করো প্রভুর আশা, প্রভু কি বাবুই পাখি, তোমার দাঁড়িতে বাঁধিবে বাসা?" বি.দ্র. উপরোক্ত লাইন দুটি কোনো কবিতার অংশবিশেষ নয় । ব্যাখ্যাঃ কাজী নজরুল ইসলাম মুসলমান তাই দাঁড়ি রাখাটা সুন্নত ছিল যদিও তিনি দাঁড়ি রাখেন নি, বরং দাঁড়ি না রেখে চুল রেখেছিলেন, তাই রবীন্দ্রনাথ সেকথাই ব্যাঙ্গ করে বলেছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথের দাঁড়িকে বিদ্রোহী কবি বাবুই পাখির বাসার সাথে তুলনা করেছেন। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ছিলেন তাই আল্লাহর প্রতি তাঁর বিশ্বাস নেই, অথচ তিনি প্রভুর আশা করেন। মূলকথা হল, অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসটাই আসল, বাহ্যিকরূপ শুধু বাইরের আবরণ ব্যতীত কিছু নয়। ফেসবুকে আমি

বড় বড় পরীক্ষার রেজাল্টের দিন সহজে রেজাল্ট দেখার উপায়

প্রায় যেকোনো বড় পরীক্ষার রেজাল্টের দিনই আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যায়, কারণটা কারো অজানা নয়। ফলে আমার মত শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট দেখতে প্রচুর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এর সমাধান সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে যারা থাকেন তাদের হাতে। কিন্তু আমি চিন্তাভাবনা করে একটা পদ্ধতি বের করছি যার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায়।  বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই জানি ip address সম্পর্কে, আমরা যারা মোবাইলের ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিবার নেটওয়ার্ক সুইচিং এ এই ip  address change হয়(আমাদের দেশের 4G তে হয় না)।  সেহেতু wifi network এ ip address fixed থাকে, তাই এই পদ্ধতি wifi network এর ক্ষেত্রে কাজে দিবে না। উদাহরণস্বরুপ ব্যাখ্যা করছিঃ আজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট দিল দুপুর 2 টার পরপর। তো তখন প্রচুর ব্যবহারকারীর কারণে প্রায় কেউই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছিল না। তবে আমি মোটামুটি প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রবেশ করতে পারি। কিন্তু তারপর যখন আমি অন্য একজনের রেজাল্ট দেখার জন্য ওয়েবসাইটে সাবমিট দিলাম, দেখলাম অনেক সময় গেলেও আমার রেজাল্ট আসছে না।...