Skip to main content

বড় বড় পরীক্ষার রেজাল্টের দিন সহজে রেজাল্ট দেখার উপায়

প্রায় যেকোনো বড় পরীক্ষার রেজাল্টের দিনই আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যায়, কারণটা কারো অজানা নয়। ফলে আমার মত শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট দেখতে প্রচুর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এর সমাধান সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে যারা থাকেন তাদের হাতে।

কিন্তু আমি চিন্তাভাবনা করে একটা পদ্ধতি বের করছি যার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায়। 

বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই জানি ip address সম্পর্কে, আমরা যারা মোবাইলের ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিবার নেটওয়ার্ক সুইচিং এ এই ip  address change হয়(আমাদের দেশের 4G তে হয় না)। 

সেহেতু wifi network এ ip address fixed থাকে, তাই এই পদ্ধতি wifi network এর ক্ষেত্রে কাজে দিবে না।

উদাহরণস্বরুপ ব্যাখ্যা করছিঃ

আজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট দিল দুপুর 2 টার পরপর। তো তখন প্রচুর ব্যবহারকারীর কারণে প্রায় কেউই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছিল না। তবে আমি মোটামুটি প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রবেশ করতে পারি। কিন্তু তারপর যখন আমি অন্য একজনের রেজাল্ট দেখার জন্য ওয়েবসাইটে সাবমিট দিলাম, দেখলাম অনেক সময় গেলেও আমার রেজাল্ট আসছে না। তখন চিন্তা করতে করতে হঠাৎ একটা ট্রিক মাথায় আসল। আমি সাথে সাথে আমার ফোন airplane mode করলাম & ওয়েবপেজটি refresh দিলাম। দেখলাম 30 সেকেন্ডের মধ্যেই রেজাল্ট চলে আসল। আমার তখন মনে হল, আমি একবার যে ip address দিয়ে প্রবেশ করলাম, সেই ip address কে হয়ত ওয়েবসাইট সাময়িক সময়ের জন্য block করে দেয়(যেহেতু প্রচুর মানুষ একসাথে সার্ভারে হিট করছে, যারা একবার প্রবেশ করেছে তাদেরকে বাদ দিলে সার্ভারের একটু কম কষ্ট হয়)। তাই আমি এভাবে বারবার airplane mode করে অনেক ছাত্রের রেজাল্ট দেখে দিলাম। একটু পর আবার ভাবলাম, আমার তো বারবার airplane mode করার প্রয়োজন নেই, 3G network দিয়ে একবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তারপর data connection বন্ধ করে আবার চালু করলেই তো হয়। কারণ আগেই বলেছি, 3G network এ প্রতিবার ডাটা সুইচিং এ ip address change হয়ে যায়।

তো এভাবেই আমি আজকে প্রায় ১০০ জনের মত ছাত্রছাত্রীর রেজাল্ট দেখে দিয়েছি। কিন্তু এভাবে অসীম সংখ্যকবার করা যাবে না, কারণ আমাদের দেশের সিম কোম্পানিগুলোরও ip address খুব বেশি না, তাই এক সিম দিয়ে কিছুক্ষণ চেষ্টা করে পরবর্তীতে অন্য সিম দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।

ভবিষ্যতে অনেক সময় আমরা কোনো রেজাল্টের দিন এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি, তখন এভাবে আমরা অন্তত একটু কম কষ্টে কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট দেখতে পারব ইনশাআল্লাহ....

ধন্যবাদ সবাইকে💖

ফেসবুকে আমি

Comments

  1. Replies
    1. আপনার উচিত ছিল আমাকে ফেসবুকে বা টেলিগ্রামে নক করা। কারণ ব্লগে তো নিয়মিত একটিভ থাকিনা। সময়ও নেই, মোটামুটি শিখার জন্য খুলছি।
      যাই হোক, এতক্ষনে হয়ত রেজাল্ট পেয়েই গেছেন, না পেলে ফেসবুক/টেলিগ্রামে নক করেন।

      Delete

Post a Comment

Popular posts from this blog

মুক্তপাঠের অনলাইন কোর্স সমুহের কুইজের উত্তর

মুক্তপাঠের অনলাইন কোর্সের সাথে অনেকেই পরিচিত। প্রায় সব কোর্সেই চূড়ান্ত মূল্যায়নে কিছু প্রশ্ন করা যেগুলোতে পাস করাটা বাধ্যতামূলক। যদিও বেশ কয়েকবার চান্স থাকে তবুও অনেক ক্ষেত্রেই ১০০% কোর্স সম্পন্ন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। যার ফলশ্রুতিতে এত কষ্ট করেও শেষে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না। এমতাবস্থায় কোর্সের কুইজগুলোর উত্তর জানা থাকলে কোর্স সম্পন্ন করা খুবই সহজ হয়। যারা কোর্স সম্পন্ন করেছেন কিন্তু কুইজে পাস করা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন তাদের জন্য আমি সম্ভাব্য কিছু কোর্সের(মুক্তপাঠে অসংখ্য কোর্স বিদ্যমান+প্রতিনিয়ত কোর্স সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে) কুইজগুলোর সঠিক উত্তর আপলোড করলাম। কুইজের  উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন বিনিয়োগের প্রাথমিক ধারণা কোর্সের চূড়ান্ত কুইজের সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন বি.দ্রঃ শুধুমাত্র তাদের জন্যই যারা কোর্সটি করেছেন কিন্তু কুইজে পাস করতে পারছেন না বা পাস করতে কষ্ট হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। আপনি বরং আগে নিজে চেষ্টা করুন, তারপর না পারলে ভিডিও দেখুন। যেকোনো সমস্যায় কমেন্টে জানাতে পারেন....  ফেসবুকে আমি tags: মুক্তপাঠের কুইজের উত্তর...

Mini Militia Old Version Download (3.0.6 & 3.0.47)

২০১৭ সালের দিকে Mini Militia নামের একটি Game ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তখনকার সময়ানুযায়ী সেটি যথেষ্ট উন্নত ছিল। তবে ধীরে ধীরে সময়ের পরিক্রমায় সেটি আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে নি। তাই বর্তমানে PUBG, Free Fire ইত্যাদির ভীড়ে সেটি হারিয়ে গেছে। তবে এখনো অনেকে Mini Militia গেমটি ইন্টারনেটে খুঁজেন। তার সবচেয়ে বড় একটি কারণ হল, এটি খেলার জন্য শক্তিশালী Processor সম্বলিত ফোন লাগে না। খুব সাধারণ এন্ড্রয়েড ফোনেও সাবলীলভাবে খেলা যায়। তাছাড়া, ইন্টারনেট ছাড়াই খেলার কারণেও অনেকে খুঁজেন। এর পাশাপাশি শৈশবের স্মৃতি হিসেবে তো রইলই। আমিও তখন এটি অনেক খেলেছি। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের অবরুদ্ধ সময়ে আমরা (আমি, রাকিব, রিফাত, রবিন, মুর্শিদুল, তুষ্টি) আমাদের লটকনতলায় বসে প্রচুর খেলেছি আর গল্পগুজব করেছি।  বর্তমানে ঐ সময়ের গেমটি (পুরাতন ভার্সন) আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা বেশ কয়েকজন সেটি খুঁজতে প্রচুর সময় ব্যয় করেছি। এমনকি প্রায় দশ পনেরোটি ভিন্ন ভিন্ন গেম ইন্সটল করেও সেটি আর পাই নি। কাকতালীয়ভাবে আমার মতই কোনো একজনের কাছে সেই সময়ের গেমটি পেলাম। আমার কাছে একটি ছিল। আমি ড্রাইভে আপলোড করে রেখেছিলাম। বুঝতে...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের ব্যাঙ্গাত্বক কথোপকথন

রবীন্দ্রনাথ: "কবি, করিয়াছো ভূল, রাখোনাই দাঁড়ি রাখিয়াছো চুল" । নজরুল:  "অন্তরে বিশ্বাস নেই, মিছে করো প্রভুর আশা, প্রভু কি বাবুই পাখি, তোমার দাঁড়িতে বাঁধিবে বাসা?" বি.দ্র. উপরোক্ত লাইন দুটি কোনো কবিতার অংশবিশেষ নয় । ব্যাখ্যাঃ কাজী নজরুল ইসলাম মুসলমান তাই দাঁড়ি রাখাটা সুন্নত ছিল যদিও তিনি দাঁড়ি রাখেন নি, বরং দাঁড়ি না রেখে চুল রেখেছিলেন, তাই রবীন্দ্রনাথ সেকথাই ব্যাঙ্গ করে বলেছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথের দাঁড়িকে বিদ্রোহী কবি বাবুই পাখির বাসার সাথে তুলনা করেছেন। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ছিলেন তাই আল্লাহর প্রতি তাঁর বিশ্বাস নেই, অথচ তিনি প্রভুর আশা করেন। মূলকথা হল, অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসটাই আসল, বাহ্যিকরূপ শুধু বাইরের আবরণ ব্যতীত কিছু নয়। ফেসবুকে আমি