Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2023

গাণিতিক ধাঁধা — পর্ব ১২ঃ জাদুকর

একবার এক জাদুকর দর্শকদের এই লোভনীয় প্রস্তাবটা দিয়েছিল। সে মঞ্চে দাঁড়িয়ে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলল, ‘৫০ পয়সা, ২০ পয়সা আর ৫ পয়সা মিলিয়ে মোট ২০টি মুদ্রায় কেউ যদি আমাকে ৫ টাকা দিতে পারেন তা হলে আমি তাকে ৫০০ টাকা দেব। পাঁচ টাকায় পাঁচশো টাকা! নেবেন নাকি কেউ?’ সারা হলঘর নিস্তব্ধ। কেউ কেউ কাগজ, পেন্সিল বাগিয়ে ধরে এমন একটা সুযোগ নেবার জন্য হিসেব কষতে শুরু করেছে। জাদুকরকে বিশ্বাস করে তার প্রস্তাবটা মেনে নিতে কেউই রাজি নয়। জাদুকর বলে চলল, ‘৫০০ টাকার জন্য ৫ টাকাকে আপনারা খুব বেশি বলে মনে করছেন দেখছি! আচ্ছা বেশ, ২০টি মুদ্রায় ৩ টাকা নিতে রাজি আছি আমি, তার বদলে দেব ৫০০ টাকা। যারা নেবেন লাইন করে দাঁড়ান।’ কেউই লাইনে দাঁড়াতে এল না। সহজে টাকা আয়ের এই সুযোগটা নিতে কেউই ব্যস্ততা দেখাল না। ‘কী ব্যাপার! ৩ টাকাও খুব বেশি মনে হচ্ছে আপনাদের? আচ্ছা, আচ্ছা, আরও এক টাকা কমিয়ে দিচ্ছি, ২০টা মুদ্রায় ২ টাকা দিন আপনারা। এবার হল তো?’ তবু কেউ সুযোগটা নিতে এল না। জাদুকর বলে চলল, ‘খুচরো মুদ্রাগুলি নেই বোধহয় আপনাদের কাছে? আচ্ছা বেশ, আমি বিশ্বাস করছি আপনাদের । কোন মুদ্রা কতটা করে দেবেন সেইটা শুধু লিখে দিন আ...

গাণিতিক ধাঁধা — পর্ব ১১ঃ রাতুলের বায়না

রাতুল এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তার কাছে ২.৫০ টাকা ছিল যা গতকাল রাতে তার আপু তাকে দিয়েছিল। আজ বিদ্যালয়ে আসার সময় সে ভীষণ চিতকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। ২০ টাকা ছাড়া সে কিছুতেই স্কুলে যাবে না। অনেক বুঝিয়েও যখন কাজ হল না, তখন তার আপু একটা বুদ্ধি করল। সে রাতুলকে বলল, ‘আমি তোকে যত টাকা দিব, বাবা ও মা তার দ্বিগুণ টাকা দিবে। এভাবে তোর ২০ টাকা হওয়ার জন্য বাবাকে কত টাকা দিতে হবে? টাকা পেতে হলে তোকে উত্তর বের করতে হবে। যদি নিজে না পারিস, তোর স্কুলের বন্ধুদের সাহায্য নিতে পারবি। আজ রাত পর্যন্ত তোকে সময় দিলাম।’ রাতুল এবার বিপদে পড়ল। সে গণিতে ভয় পায়, উপরন্তু খুবই দুর্বল। সে টাকা না নিয়েই স্কুলে চলে আসল। টিফিনের সময় তার বন্ধুদের সাথে আলাপ আলোচনা করে উত্তর বের করে ছুটির পর বাসায় গিয়েই আপুকে বলে টাকা আদায় করে নিল। এদিকে তার আপু আগেই বাবা-মায়ের কাছ থেকে হিসেবমত টাকা নিয়ে রেখেছিল। বলো তো, তার মা তাকে কত টাকা দিয়েছিল? আরও গাণিতিক ধাঁধা পেতে  এখানে  ক্লিক করুন....

গাণিতিক ধাঁধা — পর্ব ১০ঃ দ্বীপান্তর

আজ আমার জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে একটি ছোটগল্প লিখলাম। তবে নিছক গল্প নয়, এখানে গল্পের মধ্যে দুটি মজার গাণিতিক ও যুক্তিমূলক ধাঁধা লুকিয়ে আছে। এগুলো চিন্তাশীল ও ধৈর্যশীল কিশোর-কিশোরীদের জন্য। রিয়ান, সানি, লাবিব ও বল্টু চার বন্ধু। নিদিরপুর গ্রামে পাশাপাশি তাদের বাড়ি এবং তারা দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে। একদিন বিকালে তারা তাদের গ্রাম থেকে কিছু দূরে তিরান দ্বীপে ঘুরতে গেল। সেখানে তাদের আরেক বন্ধু রাদিনের বাড়ি। তিরান যদিও গ্রামের নাম কিন্তু তার চারিদিকে জল থাকায় সেটি তিরানদ্বীপ নামেই বেশি পরিচিত। রান্তা নদী তিরানকে চারিদিকে বেষ্টন করে আছে। শুধুমাত্র নিদিরপুর গ্রামের দিকে একটি খাল রয়েছে এবং সেটি রান্তা নদীতেই মিশেছে। খালটির উপর অনেক বছরের পুরাতন একটি বাশের সাঁকো রয়েছে। চার বন্ধু খালের কাছাকাছি এসে দেখল সাঁকোটি এত পুরাতন যে এতে একসাথে ২ জনের বেশি ওঠলে, সাঁকোটি নিশ্চিত ভেঙ্গে পড়বে। তাই ওরা ঝুঁকি না নিয়ে একজন একজন করে সাঁকোটি পার হল। সানির সময়জ্ঞান কিছুটা বেশি। সে তার হাতঘড়ির সাহায্যে হিসাব করে দেখল, তার সাঁকোটি পার হতে ২ মিনিট লেগেছে। শুধু তাই নয়, রিয়ান, লাবিব ও বল্টুর যথাক্রমে ১,৫ ও ১০ মিনি...

গাণিতিক ধাঁধা — পর্ব ০৯ঃ দিয়াশলাই কাঠির ছড়াছড়ি

একটি ছেলে দিয়াশলাইয়ের বাক্সটা টেবিলের ওপর খালি করে কাঠিগুলোকে ভাগ করল তিনটি ভাগে । ঠাট্টা করে প্রশ্ন করল একজন, ‘অগ্নিকাণ্ড-টাণ্ড ঘটাতে যাচ্ছ না তো ভাই?’ ‘না-না, এগুলো সব মগজ ঘামানোর জন্যে। এই হল তিনটে ভাগ। ভাগগুলো সমান নয়। সবসুদ্ধ কাঠি আছে ৪৮টা। প্রতি ভাগে কটা আছে তা অবশ্য বলব না আমি। দ্বিতীয় ভাগে যতটা কাঠি আছে প্রথম ভাগ থেকে ততটা নিয়ে রাখলাম দ্বিতীয় ভাগে। তারপর তৃতীয় ভাগে যতটা আছে ততটা কাঠি দ্বিতীয় ভাগ থেকে নিয়ে রাখলাম তৃতীয় ভাগে। সবশেষে প্রথম ভাগে যে-কয়টা কাঠি পড়েছিল, তৃতীয় ভাগ থেকে সে কয়টা নিয়ে দিয়ে দিলাম প্রথম ভাগে। এইসব কাণ্ড করলে দেখবে, তিনটে ভাগেই কাঠির সংখ্যা হবে সমান সমান। তা হলে বলো তো, প্রথমে প্রতি ভাগে কয়টা করে কাঠি ছিল?’ আরও গাণিতিক ধাঁধা পেতে  এখানে  ক্লিক করুন....

গাণিতিক ধাঁধা — পর্ব ০৮ঃ ঈদের সেলামী

মিতুর ৩ মামা যারা একই শহরে একই বিল্ডিং এ আলাদা আলাদা ফ্ল্যাটে থাকেন। প্রত্যেক মামার ফ্ল্যাটের দরজায় আছে ১ জন করে দারোয়ান। ফ্ল্যাটে ঢুকতে ও বের হতে প্রতিবার ১ টাকা করে দারোয়ানদের সেলামী দিতে হয়। ঈদে মিতু মামা বাড়ি বেড়াতে গেল। প্রথমে মিতু বড় মামার ফ্ল্যাটে গিয়ে মিতুর কাছে যত টাকা ছিল, তত টাকা সেলামী চাইল। মামাও আদরের ভাগ্নীকে না করতে পারলেন না। এভাবে বাকি দুই মামার ফ্ল্যাটে গিয়েও মিতু একইরকম করে সেলামী নিল। তিন মামার ফ্ল্যাট ঘুরে মিতু যখন বাড়ি আসবে, তখন লিফটে দাঁড়িয়ে দেখলো সে যত টাকা নিয়ে মামা বাড়ি বেড়াতে এসেছিল, এখনো ঠিক তত টাকাই তার পকেটে আছে। মিতু কত টাকা নিয়ে বেড়াতে এসেছিল? আরও গাণিতিক ধাঁধা পেতে  এখানে  ক্লিক করুন....

বুদ্ধিবৃত্তিক ধাঁধা — পর্ব ০১ঃ বল্টুর বোকামী

বল্টু ও পল্টু দুই বন্ধু। ফলের মৌসুমে তারা সিদ্ধান্ত নিলো বল্টু আমের দোকান দেবে এবং পল্টু জামের দোকান দেবে। তারা বাজারে গিয়ে পাশাপাশি দোকান দিয়ে আম ও জাম বিক্রি করতে লাগলো। একজন ক্রেতা বল্টুর নিকট থেকে ৩৫০ টাকার আম কিনে ১০০০ টাকার একটি নোট দিলো। কিন্তু বল্টুর কাছে ভাংতি না থাকায়, সে পল্টুর কাছ থেকে নোট টি ভাংতি করে নিয়ে ক্রেতাকে ৬৫০ টাকা ফেরত দিল। কিছুক্ষণ পর পল্টু লক্ষ্য করলো যে নোট টি জাল! ফলে সে বল্টুকে জাল নোটটি দিয়ে ১০০০ টাকা ফেরত নিয়ে গেলো। বল্টুর মোট কত টাকা গচ্ছা গেলো? এমন আরও ধাঁধা পেতে  এখানে  ক্লিক করুন....