Skip to main content

গাণিতিক ধাঁধা — পর্ব ০২ঃ অদ্ভুত এক গাছের গুঁড়ি

এই ধাঁধাটা আমি এক রাশিয়ান বইয়ে পেয়েছিলাম। আসলে এটা একটা মজার গল্প। 

একদিন এক কৃষকের সঙ্গে এক বুড়োর দেখা হল বনের ভেতর। কথাবার্তা শুরু হতে বুড়ো বলল, ‘এই বনে একটা অদ্ভুত ছোট্ট গাছের গুঁড়ি আছে। প্রয়োজনমতো এটি মানুষকে সাহায্য করে।’

‘তা-ই নাকি? কী করে? অসুখ বিসুখ সারায় বুঝি?’

‘না, ঠিক তা নয়। এটি মানুষের টাকা দ্বিগুণ করে দেয়। একটি থলিতে কিছু টাকা রেখে থলিটা শেকড়ের ভেতর রেখে একশো পর্যন্ত গুনে যাও, তার পরেই দেখতে পাবে টাকাটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এক অদ্ভুত গুঁড়ি হে!’

কৃষক উৎসাহের চোটে বলে উঠল, ‘পরীক্ষা করে দেখতে পারি না?’

‘কেন পারবে না, কিছু দক্ষিণা দিতে হবে অবশ্য।’

‘কাকে দিতে হবে, আর দক্ষিণা কত?’

‘যে তোমাকে গুঁড়িটা দেখাবে, সে তো আমি। কত দিতে হবে সে অবশ্য আলাদা কথা।’

দুজনে তো দরাদরি শুরু করল তখন। কৃষকের বেশি টাকা নেই শুনে, কৃষক যতবার টাকা দ্বিগুণ করবে, প্রতিবারে ৮ টাকা করে দক্ষিণা নিতে রাজি হল বুড়ো।

দু’জনে তখন ঢুকল গভীর জঙ্গলে। বুড়ো অনেক খুঁজে কৃষককে নিয়ে এল ঝোপের ভেতর এক শ্যাওলাধরা বিরাট বট গাছের গুঁড়ির সামনে। তারপর কৃষকের থলিটা নিয়ে গুজে দিল শেকড়গুলির ভেতর। তারপর তারা একশো পর্যন্ত গুনল। অনেকক্ষণ ধরে খুঁজবার পর থলিটা বের করে কৃষককে ফিরিয়ে দিল বুড়ো। কৃষক খুলল থলিটা। কী অবাক কাণ্ড, টাকাগুলো সত্যিই দ্বিগুণ হয়ে গেছে! কথামতো ৮ টাকা গুনে বের করে দিয়ে, সে বুড়োকে আবার রাখতে বলল এটা। আবার তারা একশো পর্যন্ত গুনল। আবার সেই বুড়ো খুজে বার করল থলিটা। আবারও ঘটল সেই অদ্ভুত ব্যাপারটা, টাকাগুলো সব দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আবার সেই চুক্তিমতো বুড়োকে সে দিল ৮ টাকা। তারপর তৃতীয়বার তারা থলিটাকে লুকিয়ে রাখল। এবারও টাকাটা দ্বিগুণ হল। কিন্তু বুড়োকে তার ৮ টাকা দেবার পর এবার আর কিছুই থাকল না থলিতে! এভাবে সব ঢাকা হারাল গরিব কৃষকটি। দ্বিগুণ করে নেবার মতো আর টাকা যখন রইল না, মাথা হেট করে চলে গেল সে।

কৃষক প্রথমে কত টাকা নিয়ে এসেছিল? 

অন্যান্য গাণিতিক ধাঁধা পেতে এখানে ক্লিক করুন....

Comments

Popular posts from this blog

Mini Militia Old Version Download (3.0.6 & 3.0.47)

২০১৭ সালের দিকে Mini Militia নামের একটি Game ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তখনকার সময়ানুযায়ী সেটি যথেষ্ট উন্নত ছিল। তবে ধীরে ধীরে সময়ের পরিক্রমায় সেটি আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে নি। তাই বর্তমানে PUBG, Free Fire ইত্যাদির ভীড়ে সেটি হারিয়ে গেছে। তবে এখনো অনেকে Mini Militia গেমটি ইন্টারনেটে খুঁজেন। তার সবচেয়ে বড় একটি কারণ হল, এটি খেলার জন্য শক্তিশালী Processor সম্বলিত ফোন লাগে না। খুব সাধারণ এন্ড্রয়েড ফোনেও সাবলীলভাবে খেলা যায়। তাছাড়া, ইন্টারনেট ছাড়াই খেলার কারণেও অনেকে খুঁজেন। এর পাশাপাশি শৈশবের স্মৃতি হিসেবে তো রইলই। আমিও তখন এটি অনেক খেলেছি। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের অবরুদ্ধ সময়ে আমরা (আমি, রাকিব, রিফাত, রবিন, মুর্শিদুল, তুষ্টি) আমাদের লটকনতলায় বসে প্রচুর খেলেছি আর গল্পগুজব করেছি।  বর্তমানে ঐ সময়ের গেমটি (পুরাতন ভার্সন) আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা বেশ কয়েকজন সেটি খুঁজতে প্রচুর সময় ব্যয় করেছি। এমনকি প্রায় দশ পনেরোটি ভিন্ন ভিন্ন গেম ইন্সটল করেও সেটি আর পাই নি। কাকতালীয়ভাবে আমার মতই কোনো একজনের কাছে সেই সময়ের গেমটি পেলাম। আমার কাছে একটি ছিল। আমি ড্রাইভে আপলোড করে রেখেছিলাম। বুঝতে...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের ব্যাঙ্গাত্বক কথোপকথন

রবীন্দ্রনাথ: "কবি, করিয়াছো ভূল, রাখোনাই দাঁড়ি রাখিয়াছো চুল" । নজরুল:  "অন্তরে বিশ্বাস নেই, মিছে করো প্রভুর আশা, প্রভু কি বাবুই পাখি, তোমার দাঁড়িতে বাঁধিবে বাসা?" বি.দ্র. উপরোক্ত লাইন দুটি কোনো কবিতার অংশবিশেষ নয় । ব্যাখ্যাঃ কাজী নজরুল ইসলাম মুসলমান তাই দাঁড়ি রাখাটা সুন্নত ছিল যদিও তিনি দাঁড়ি রাখেন নি, বরং দাঁড়ি না রেখে চুল রেখেছিলেন, তাই রবীন্দ্রনাথ সেকথাই ব্যাঙ্গ করে বলেছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথের দাঁড়িকে বিদ্রোহী কবি বাবুই পাখির বাসার সাথে তুলনা করেছেন। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ছিলেন তাই আল্লাহর প্রতি তাঁর বিশ্বাস নেই, অথচ তিনি প্রভুর আশা করেন। মূলকথা হল, অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসটাই আসল, বাহ্যিকরূপ শুধু বাইরের আবরণ ব্যতীত কিছু নয়। ফেসবুকে আমি

বড় বড় পরীক্ষার রেজাল্টের দিন সহজে রেজাল্ট দেখার উপায়

প্রায় যেকোনো বড় পরীক্ষার রেজাল্টের দিনই আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যায়, কারণটা কারো অজানা নয়। ফলে আমার মত শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট দেখতে প্রচুর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এর সমাধান সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে যারা থাকেন তাদের হাতে। কিন্তু আমি চিন্তাভাবনা করে একটা পদ্ধতি বের করছি যার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায়।  বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই জানি ip address সম্পর্কে, আমরা যারা মোবাইলের ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিবার নেটওয়ার্ক সুইচিং এ এই ip  address change হয়(আমাদের দেশের 4G তে হয় না)।  সেহেতু wifi network এ ip address fixed থাকে, তাই এই পদ্ধতি wifi network এর ক্ষেত্রে কাজে দিবে না। উদাহরণস্বরুপ ব্যাখ্যা করছিঃ আজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট দিল দুপুর 2 টার পরপর। তো তখন প্রচুর ব্যবহারকারীর কারণে প্রায় কেউই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছিল না। তবে আমি মোটামুটি প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রবেশ করতে পারি। কিন্তু তারপর যখন আমি অন্য একজনের রেজাল্ট দেখার জন্য ওয়েবসাইটে সাবমিট দিলাম, দেখলাম অনেক সময় গেলেও আমার রেজাল্ট আসছে না।...