এই ধাঁধাটা আমি এক রাশিয়ান বইয়ে পেয়েছিলাম। আসলে এটা একটা মজার গল্প।
একদিন এক কৃষকের সঙ্গে এক বুড়োর দেখা হল বনের ভেতর। কথাবার্তা শুরু হতে বুড়ো বলল, ‘এই বনে একটা অদ্ভুত ছোট্ট গাছের গুঁড়ি আছে। প্রয়োজনমতো এটি মানুষকে সাহায্য করে।’
‘তা-ই নাকি? কী করে? অসুখ বিসুখ সারায় বুঝি?’
‘না, ঠিক তা নয়। এটি মানুষের টাকা দ্বিগুণ করে দেয়। একটি থলিতে কিছু টাকা রেখে থলিটা শেকড়ের ভেতর রেখে একশো পর্যন্ত গুনে যাও, তার পরেই দেখতে পাবে টাকাটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এক অদ্ভুত গুঁড়ি হে!’
কৃষক উৎসাহের চোটে বলে উঠল, ‘পরীক্ষা করে দেখতে পারি না?’
‘কেন পারবে না, কিছু দক্ষিণা দিতে হবে অবশ্য।’
‘কাকে দিতে হবে, আর দক্ষিণা কত?’
‘যে তোমাকে গুঁড়িটা দেখাবে, সে তো আমি। কত দিতে হবে সে অবশ্য আলাদা কথা।’
দুজনে তো দরাদরি শুরু করল তখন। কৃষকের বেশি টাকা নেই শুনে, কৃষক যতবার টাকা দ্বিগুণ করবে, প্রতিবারে ৮ টাকা করে দক্ষিণা নিতে রাজি হল বুড়ো।
দু’জনে তখন ঢুকল গভীর জঙ্গলে। বুড়ো অনেক খুঁজে কৃষককে নিয়ে এল ঝোপের ভেতর এক শ্যাওলাধরা বিরাট বট গাছের গুঁড়ির সামনে। তারপর কৃষকের থলিটা নিয়ে গুজে দিল শেকড়গুলির ভেতর। তারপর তারা একশো পর্যন্ত গুনল। অনেকক্ষণ ধরে খুঁজবার পর থলিটা বের করে কৃষককে ফিরিয়ে দিল বুড়ো। কৃষক খুলল থলিটা। কী অবাক কাণ্ড, টাকাগুলো সত্যিই দ্বিগুণ হয়ে গেছে! কথামতো ৮ টাকা গুনে বের করে দিয়ে, সে বুড়োকে আবার রাখতে বলল এটা। আবার তারা একশো পর্যন্ত গুনল। আবার সেই বুড়ো খুজে বার করল থলিটা। আবারও ঘটল সেই অদ্ভুত ব্যাপারটা, টাকাগুলো সব দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আবার সেই চুক্তিমতো বুড়োকে সে দিল ৮ টাকা। তারপর তৃতীয়বার তারা থলিটাকে লুকিয়ে রাখল। এবারও টাকাটা দ্বিগুণ হল। কিন্তু বুড়োকে তার ৮ টাকা দেবার পর এবার আর কিছুই থাকল না থলিতে! এভাবে সব ঢাকা হারাল গরিব কৃষকটি। দ্বিগুণ করে নেবার মতো আর টাকা যখন রইল না, মাথা হেট করে চলে গেল সে।
কৃষক প্রথমে কত টাকা নিয়ে এসেছিল?
অন্যান্য গাণিতিক ধাঁধা পেতে এখানে ক্লিক করুন....
Comments
Post a Comment